How to apply for maternity allowance online for poor mother.
দরিদ্র মা'র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতার অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে ।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধরা, আশা করি সকলে মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন । আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব । কিভাবে আপনি ঘরে বসে ‘দরিদ্র মা'র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতার অনলাইনে আবেদনপত্র’ দাখিল করবেন বা আবেদন করবেন ।
অনেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের মেম্বর এর কাছে ছুটাছুটি করেন । অনেক সময় ফল পান আবার পান না । তারা যদি ভালো ভাবে আমার এই পোস্টটি ফলো করেন তাহলে আমি আশাকরি আপনি নিজেই এই মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন নিজেই করতে পারবেন ।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আবেদনে চলে যাই । আবেদন করতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে-
১। আপনার ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
২। আপনার স্বাক্ষর/টিপসই ।
* এই ছবি এবং স্বাক্ষর/টিপসই আগে থেকে মোবাইলে ছবি তুলে সেভ করে রাখবেন ।
এবার আবেদন করার জন্য নিচের লিংকে প্রবেশ করুন ।
লিংকে প্রবেশ করার পর নিচের মতো একটি ছবি আসবে । প্রতিটি (*) চিহ্নিত ঘরগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন । আর যে ঘরগুলোতে (*) নেই সেগুলো পূরণ না করলেও সমস্যা নাই ।
প্রথমে দেখুন অনলাইন আবেদন এর নিচে আছে ...
ব্যক্তিগত তথ্য :
এখানে যে কয়টা বিষয় আপনার সমস্যা হতে পারে এমন এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি । আমার মনে হয় আলাদা করে আলোচনার প্রয়োজন হয়না তারপরও যদি সমস্যা থাকে আর কি !!!!
১ম প্রশ্ন : অর্থবছর কত দিবেন ???
উত্তর : আপনি যখনই আবেদন করবেন সব সময় সর্ব শেষ অর্থবছর দিবেন (আপনি যেহেতু ভাতার জন্য নতুন আবেদনকারী )।
২য় প্রশ্ন : ব্যাচ কত হবে ???
উত্তর : এখানেও সর্ব শেষ ব্যাচ জুলাই-২১/জুন-২২ হবে ।
৩য় প্রশ্ন : যে নামে পরিচিত কী হবে ????
উত্তর : আপনার নামের প্রথম অংশ বা শেষ অংশ হবে । অর্থাৎ যে নামে আপনাকে যাকে । ( যেমন :- আপনার নাম আসমা আক্তার, আপনার ডাক নাম/পরিচিত নাম আসমা । )
৪র্থ প্রশ্ন : এন আর বি ? ও অন্য কর্মসূচীর ভাতাভোগী কী ? টিক চিহ্ন দেবেন কিনা ???
উত্তর : আপনি যদি অন্য কোন ভাতা পেয়ে থাকেন তাহলে টিক চিহ্ন দিবেন না হলে দিবেন না । ( তবে টিক চিহ্ন না দেওয়াই ভালো । অন্য ভাতা পেলে এটা না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে )
এবার আসবো দ্বিতীয় অপশনে । নিচের ছবিটি খেয়াল করুন সেখানে আছে বর্তমান ঠিকানা এবং ডানপাশে স্থায়ী ঠিকানা ।
উপরের পৃষ্ঠা থেকে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই । কারন আপনার ঠিকানা ঠিকঠাক ভাবে লিখবেন । ঠিকানায় ভুল হওয়র কথা না ।
পরের অপশন আর্থ-সামাজিক তথ্য ও পেমেন্টে তথ্য :
আর্থ-সামাজিক তথ্য :
পরিবারের প্রথম রোজগারী মিহলা : হ্যাঁ/না উত্তর দিতে হবে ।
মাসিক আয় : আপনার মাসিক আয় কত দিবেন । ( যেমন:- ৩৫০০/-)
প্রতিবন্ধী : হ্যাঁ/না উত্তর দিতে হবে ।
বাসস্থান আছে ? : হ্যাঁ/না উত্তর দিতে হবে ।
পেমেন্টে তথ্য :
পেমেন্টের ধরন : এখানে আপনার পেমেন্টের ধরন নির্বাচন করবেন । আপনি কিসের মাধ্যমে টাকাটা নিতে চাচ্ছেন ? ব্যাংক নাকি মোবাইল ব্যাংকিং ? আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং হয় তাহলে কোন কোম্পানীর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিতে চাচ্ছেন সেটার নাম সিলেক্ট করুন ।
হিসাবের নাম : মোবাইল ব্যাংকিং অথবা আপনার ব্যাংকের একাউন্ট যে নামে আছে সেই হিসাবধারীর নাম লিখতে হবে । যেমন ধরুন :- আপনার একটি নগদ/বিকাশ একাউন্ট আছে । সেটি যার এনআইডি নং এ খোলা আছে তার নাম লিখুন ।
হিসাব নং : আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর অথবা আপনার নগদ/বিকাশ নম্বরটাই হিসাব নম্বর ।
এবার আমরা শেষ অপশনটা নিয়ে আলোচনা করবো । এখানে আছে আপনার ছবি ও স্বাক্ষর এবং যদি আপনার অন্য কোন বৈধ্য কাগজ থাকে । যেমন :- আপনি যদি প্রতিবন্ধী হন তাহলে আপনার প্রতিবন্ধী কার্ড এর ছবি এড করতে হবে ।
এবার সব শেষে বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফরমটি সেভ হয়ে যাবে । এবার আপনার কাজ হলো আপনার আবেদনকৃত ফরমটির একটি প্রিন্ট কপি নিয়ে সাথে এনআইডি কার্ডের কপি, এক কপি ছবি নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন ।
আশাকরি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে । এমন সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন । আমরা আপনাদের নিরাশ করবো না আশাকরি ।
ফেসবুকে আমরা আছি এন.এস গাজী কম্পিউটারস্ । সাথে সাথে জয়েন করতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে ।
অনেক কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ।
বেশি পঠিত পোস্ট :
ভালোভাবে MS-Word সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন : মাইক্রোসফট অফিস এর ফন্ট ট্যাব ব্যবহার করবেন কিভাবে?
বিবাহের কার্ড ডিজাইন সম্পর্কে একটি পোস্ট : বিবাহের কার্ড ডিজাইন বাংলায় (এমএস ওয়ার্ডে) ।
ফটোশপের মাপ সম্পর্কে জানতে : ফটোশপে সবগুলো ছবির মাপ দেখে নিন এক পলকে ।
0 Comments